- কিরে চাকরিটা হলো ? - না রে শ্রুতি । - কেনো এটা তো সব ঠিক ছিল! - হয়তো আমি যোগ্য নই। - এই চুপ করতো সেন্টু মারিস না বেশি । - না রে সত্যি আমি কি ভুল করছি বুঝতে পারছি না । সবার শুধু এক্সপিরিয়েন্স চাই । যদি কেউ সুযোগটাই না দেয় এক্সপিরিয়েন্স পাবো কোথা থেকে বল তো । - ঠিক তুই তোর মনের মতন চাকরি পাবি ওতো ভাবিস না । - কি করবো আর বলতো ? আমি বোধয় ওই সেলসের চাকরিটা পেয়েছিলাম ওটাই করে নিলে হতো । এখন বুঝতে পারছি কি ভুল করেছি আমি । - তুই তাহলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কেনো পড়লি বি বি এ পড়তে পারতিস । - ধূর আমার তো ভালো লাগতো এবং এখনো লাগে তাই পড়েছিলাম। - তাহলে, তুই কিচ্ছু ভুল করিসনি, তুই শুধু নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়েছিস। - এই কলকাতার বাজারে এটাই সবচেয়ে বড় ভুল করেছি রে । - ওতো ভাবিস না ঠিক পেয়ে যাবি। - বাড়ির একমাত্র ছেলে তো ভাবতে হয় । এই বছর এপ্রিলে পঁচিশ বছর বয়স হয়ে যাবে । এখনো বাবাকে দেখি কাজে যেতে আর আমি নাকি ঘরে বসে তার টাকায় তারাম করে খাচ্ছি । তাছাড়া তুই ভাব তো তোর বাড়িয়ে লোক একটা বেকার ছেলের সাথে তোর বিয়ে দেবে ? - আরে এতো কিছু কেনো ভাবছিস চাকরি তো তুই পেয়েই যাবি। -...
বাংলার উৎসব ভূমিকা :- "এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা"— ঈশ্বর গুপ্ত উৎসব হল মানবজীবনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ । মানুষ শুধু খেয়ে-পরে বেঁচেই সন্তুষ্ট থাকে না । সে অনেকের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে দিতে চায় । মানুষ দৈনন্দিন জীবনের গতানুগতিক একঘেয়েমির জীবন থেকে মুক্তি চায় । শ্রমক্লান্ত জীবনে পেতে চায় সহজ অনাবিল আনন্দ । আর তাই মানুষ উৎসবে মেতে ওঠে । উৎসব মানুষকে আনন্দ দেয়, প্রসারিত করে তার অস্তিত্বকে । বাঙালির ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের মেঘ বারবার ঘনিয়েছে । কখনও দুর্ভিক্ষ, মহামারী মেতেছে বীভৎস মারণ যজ্ঞে । কখনও রাষ্ট্রীয় বিপর্যয় তাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেছে স্থান থেকে স্থানান্তরে । তবুও আনন্দস্রোতে ভাটা পড়েনি, কারণ বাঙালি উৎসব প্রিয় জাতি । আমার আনন্দে সবার আনন্দ হউক, আমার সুখে সবাই সুখী হউক, এই কল্যাণী ইচ্ছাই উৎসবের প্রাণ । উৎসবের শ্রেণীবিভাগ :-এই উৎসবকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়— (ক) ঋতু উৎসব, (খ) ধর্মীয় উৎসব, (গ) সামাজিক-পারিবারিক উৎসব ও (ঘ) জাতীয় উৎসব । (ক) ঋতু উৎসব :- বিশেষ বিশেষ ঋতুর সঙ্গ...
কবিতা লিখে যদি তোমাকে রাখতে পারতাম, তবে হয়তো আজও আমার আঙুলে গন্ধ থাকতো তোমার। শব্দেরা এখন মৃত, তোমার স্পর্শ ছাড়া তারা আর গান গায় না। গল্প লিখে যদি তোমাকে থামাতে পারতাম, তবে হয়তো আমার বুকের ভেতর আর এমন শূন্যতা জন্মাত না। পাণ্ডুলিপির প্রতিটি পাতায় আজ শুধু তোমার চলে যাওয়ার শব্দ বাজে— ধীরে ধীরে, ধারালো ছুরির মতো। যুদ্ধ করে যদি তোমাকে আটকাতে পারতাম, তবে হয়তো এই পরাজিত বিকেলগুলোকে এভাবে বয়ে বেড়াতে হতো না কাঁধে কাঁধে। সব যুদ্ধ শেষ, সব ব্যূহ ভেঙে গেছে, শুধু তোমার অনুপস্থিতি জিতে গেছে আমার সমস্ত অস্তিত্বের ওপর। ভালোবাসা কি সত্যি ছিল? নাকি ভালোবাসা কেবলই এক মরুভূমির মিথ্যা মরীচিকা— যেখানে আমি দৌড়েছি সারাজীবন, তুমি কোনোদিন ছিলে না... শুধু ছায়া ছিল, ছায়ারও ছায়া। এখন রাতের বাতাসে ভেসে আসে ফাঁকা নাম, ভাঙা কবিতা, ফুরিয়ে যাওয়া যুদ্ধের শ্লোগান। ভালোবাসা কি সত্যি ছিল? _Ujjwal
Comments
Post a Comment