নামহীন এক বিষাদ



 ঘড়ির কাঁটা থেমে গেছে,

কীসের জন্য — জানি না।

হাওয়ার শরীরে ফাটল ধরেছে,

আমি শুনি, শুনি এক ফাটল-ফুটো শব্দ...

তুমি কি ছিলে কোনোদিন?

পেছনের রাস্তায় পায়ের ছাপ নেই আর,

নেই কোনো চিহ্ন, নেই কোনো অপেক্ষা।

শুধু কুয়াশার ভেতর হাত বাড়াই,

ছুঁয়ে দেখি — ভেঙে যায়, গলে যায়, অদৃশ্য।

আমার দেহে জমেছে মরা সময়,

প্রতিটি শিরায় কাঁদে পরিত্যক্ত বৃষ্টি।

তুমি চলে গেছো, তাই?

না কি আমি নিজেই মুছে গেছি — ধোঁয়ার মতো, ছাইয়ের মতো?

একটা নামহীন ঘর পড়ে আছে বুকে,

দরজা জানালা খুলে চুপচাপ,

সেখানে ঢোকে না আলো, ঢোকে না বাতাস 

শুধু ঢোকে এক চিরস্থায়ী বিস্মরণ।

আমি কাঁদি না, আমি ডাকি না,

আমি কেবল রয়ে গেছি—

একটা অপূর্ণ, অদেখা, অকথিত চিৎকার হয়ে।

                                                                     -- ujjwal  


Comments

Popular posts from this blog

কিরে চাকরিটা হলো ?

প্রবন্ধ রচনা:- বাংলার উৎসব

ভালোবাসা কি সত্যি ছিল?